মুসলিম পারিবারিক আইনের মূল উৎস হল শরিয়া আইন। শরিয়া আইনের মূল ভিত্তি হল প্রথমে কোরআন, তারপর হাদিস। এছাড়াও শরিয়া আইন আরও বিভিন্ন পন্থায় ক্রমবিবর্তিত হয়ে মুসলিম পারিবারিক আইন হিসেবে বর্তমান চেহারা পেয়েছে। উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, ঐতিহাসিক কারণে এবং বিবর্তনের স্বাভাবিক নিয়মে বিভিন্ন সময়ে নতুন নতুন আইন পাশ করে মুসলিম পারিবারিক আইনের সংশোধন, সংযোজন ও পরিবর্তন করা হয়েছে।
কাজেই বর্তমানে বাংলাদেশে প্রচলিত মুসলিম পারিবারিক আইন আদি ধর্মীয় পারিবারিক বা শরিয়া আইন থেকে কিছু ক্ষেত্রে পৃথক। এই পরিবর্তন সময়ের দাবিকে মনে রেখেই করা হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট আইন: (১) বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭; (২) মুসলিম বিবাহ ও তালাক (নিবন্ধন) আইন, ১৯৭৪; (৩) মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ, ১৯৬১।
মুসলিম আইন অনুযায়ী বিয়ে একটি দেওয়ানী চুক্তি। অন্যান্য চুক্তির মতই এতে দু’টি পক্ষ থাকে। একপক্ষ বিয়ের প্রস্তাব করে ও অপরপক্ষ তা গ্রহণ করে। তবে দু’পক্ষকেই কিছু আইনগত শর্ত পূরণ করতে হয়। শর্তগুলো পালনের মাধ্যমে এক পক্ষের প্রস্তাব দেওয়া ও অপর পক্ষের প্রস্তাব গ্রহণের পর একটি বিয়ে সম্পন্ন হয়। এই প্রস্তাব দেওয়া ও গ্রহণ করা একই বৈঠকে হতে হয়।
মুসলিম পারিবারিক আইনে একটি পূর্ণাঙ্গ বিয়ের জন্য নিচের শর্তগুলো পূরণ করতে হয়।
১। বয়স ঃ বিয়ের জন্য ছেলের বয়স কমপক্ষে ২১ বছর এবং মেয়ের বয়স কমপক্ষে ১৮ বছর হতে হবে।
২। সম্মতি ঃ বিয়ের জন্য ছেলে ও মেয়ে উভয়ের অবশ্যই সম্মতি থাকতে হবে।
৩। সাক্ষী ঃ বিয়েতে দু’জন সুস্থ মস্তিষ্কের প্রাপ্তবয়স্ক সাক্ষী থাকতে হবে।
৪। দেনমোহর ঃ বিয়েতে অবশ্যই দেনমোহর থাকতে হবে, দেনমোহর অবশ্যই পরিশোধযোগ্য এবং কোনও অবস্থায় মাফ হয় না।
৫। রেজিষ্ট্রশন ঃ বিয়ে অবশ্যই রেজিষ্ট্রি করতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন বিয়ের প্রামাণ্য দলিল।
বিয়ের ফলে নারী ও পুরুষের পারস্পরিক কিছু দায়িত্ব ও অধিকার জন্মায়। যেমন-(১) স্বামী ও স্ত্রী পরস্পরের সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়।(২) স্ত্রী বিবাহিত থাকা অবস্থায় আর একটি বিয়ে করতে পারেনা এবং স্ত্রীর অনুমতি ও আইনগত শর্ত পূরণ ছাড়া স্বামী দ্বিতীয় বা একাধিক বিয়ে করতে পারেনা।(৩) স্ত্রী স্বামীর কাছ থেকে দেনমোহর ও ভরণপোষণ পাবার অধিকারী হয়।(৪) যে সব সন্তান জন্মায় তারা পিতা-মাতার সম্পত্তির উত্তরাধিকারী হয়।
প্রাপ্ত বয়স্ক কোন ব্যক্তি (পুরুষ বা নারী) যদি কোন বাল্য বিবাহ করে অর্থ্যাৎ অপ্রাপ্ত বয়স্ক কোন নাবালক বা শিশু (ছেলের বয়স ২১ বা মেয়ের বয়স ১৮ বছরের কম) কে বিয়ে করেন, তবে উক্ত প্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ০২ বছর পর্যন্ত কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় ধরণের শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন। অন্যদিকে অপ্রাপ্ত বয়স্ক কোন ব্যক্তি (ছেলের বয়স ২১ বা মেয়ের বয়স ১৮ বছরের কম) যদি কোন বাল্য বিবাহ করে অর্থ্যাৎ অপ্রাপ্ত বয়স্ক কোন নাবালক বা শিশু বিয়ে করেন তবে উক্ত অপ্রাপ্ত বয়স্ক ব্যক্তি সর্বোচ্চ ০১ মাসের আটকাদেশ বা সর্বোচ্চ পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা উভয় ধরণের শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন।
১)পিতা-মাতা, অভিভাবক বা অন্য কোন ব্যক্তি বাল্য বিয়ে সম্পন্ন করার জন্য কোন কাজ করলে বা বাল্য বিয়ে সংঘটনের অনুমুতি বা নির্দেশ দিলে কিংবা নিজের অবহেলার কারনে বাল্য বিয়ে বন্ধ করতে ব্যর্থ হলে উক্ত পিত-মাতা, অভিভাবক বা আইনগত বা আইন বর্হিভূতভাবে কর্তৃত্বসম্পন্ন ব্যক্তি সর্বোচ্চ ০২ বছর ও সর্বনিম্ন ০৬ মাসের কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় ধরণের শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন এবং অর্থদন্ড অনাদায়ে সর্বোচ্চ ০৩ মাসের কারাদন্ডে দন্ডনীয় হবেন ।
২) কোন ব্যক্তি বাল্য বিয়ে সম্পাদন বা পরিচালনা করলে তিনি সর্বোচ্চ ০২ বছর ও সর্বনিম্ন ০৬ মাসের কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় ধরণের শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন এবং অর্থদন্ড অনাদায়ে সর্বোচ্চ ০৩ মাসের কারাদন্ডে দন্ডনীয় হবেন ।
৩) কোন বিবাহ নিবন্ধক অর্থ্যাৎ প্রচলিতভাবে বিয়ের কাজী কোন বাল্য বিয়ে নিবন্ধন করলে তিনি সর্বোচ্চ ০২ বছর ও সর্বনিম্ন ০৬ মাসের কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ পঞ্চাশ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় ধরণের শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন এবং অর্থদন্ড অনাদায়ে সর্বোচ্চ ০৩ মাসের কারাদন্ডে দন্ডনীয় হবেন এবং তার লাইসেন্স বাতিল হবে।
যে সব ছেলে কিংবা মেয়েকে বয়ঃসন্ধিতে পৌঁছানোর আগেই বিয়ে দেওয়া হয়, তারা বয়ঃপ্রাপ্ত হবার পর অর্থাৎ ১৫ বছর বয়স হবার পর এই বিয়ে বাতিল করে দিতে পারে। মুসলিম আইন অনুসারে কোন মেয়ের ১৫ বছর বয়স হলে সে এই অধিকার প্রয়োগ করতে পারে। অর্থাৎ তার ইচ্ছা হলে তার ছোট বেলায় ঘটে যাওয়া বিয়েকে সে বাতিল করে দিতে পারে। এক্ষেত্রে এই বিয়ে অবশ্যই তার ১৮ বছর বয়স হবার আগে বাতিল করতে হবে। কোন ক্ষেত্রে বাল্য বিবাহে আবদ্ধ কোন মেয়ে ১৫ বছর বয়স প্রাপ্তির পর যদি বিয়েটিতে পুন:সম্মতি না দেয় এবং এর পরে ১৮ বছর পেরিয়ে যায় এবং আবার বিয়ে করে সেক্ষেত্রে ধরে নেয়া হবে বাল্য বিবাহকে সে বাতিল করে দিয়েছে।
মেয়েদের এই অধিকারকে বলা হচ্ছে ‘সাবালিকার নির্বাচন”।
‘সাবালিকার নির্বাচন’ অধিকারের দু’টো শর্ত আছে।
১. ১৮ বছর বয়স হবার আগেই বিয়ে বাতিল করা।
২. যৌন মিলন ঘটার আগেই বাতিল করা।
বিয়ের জন্য ছেলে ও মেয়ে দু’জনের সম্মতি অবশ্যই প্রয়োজন। চুক্তির ক্ষেত্রে যেমন দুই পক্ষের সম্মতি দরকার তেমনি বিয়েতেও সম্মতি অন্যতম শর্ত। ভয় দেখিয়ে বা জোর করে ছেলে ও মেয়ে দু’জনের সম্মতিহীন বিয়ে অবৈধ। শুধু তাই নয় এরকম বিয়েতে যারা জড়িত তাদের ফৌজদারী আইনে কঠোর শাস্তি পেতে হবে।
মুসলিম বিয়েতে দেনমোহর হল স্বামীর কাছে স্ত্রীর এক প্রকার বিশেষ অধিকার। বিয়ের চুক্তিতেই সাধারণত দেনমোহরের পরিমাণ এবং তাৎক্ষণিক ও বিলম্বিত দেনমোহর নির্ধারিত ও লিখিত থাকে। সাধারণত দেনমোহরের কিছু পরিমাণ বিয়ের সময়ই তাৎক্ষণিক দেনমোহর হিসেবে দেয়া হয় এবং তা নিকাহ্্নামায় লিখিত থাকে আর বাকি অংশ বিলম্বিত দেনমোহর হিসেবে ধরা হয়।
প্রচলিত ধারণা আছে যে, তালাকের কারণে দেনমোহর দিতে হয়। কিন্তু এটি একটি ভুল ধারণা। দেনমোহর বিয়ের শর্ত। তালাকের সাথে এর সম্পর্ক নেই। বিবাহিত অবস্থায় দেনমোহর পরিশোধ করা না হলে বিয়ে-বিচ্ছেদের পর দেনমোহর পরিশোধের দাবি ওঠে।দেনমোহরের দু’টি অংশ থাকে।(ক) তাৎক্ষণিক দেনমোহর : তাৎক্ষণিক দেনমোহর চাওয়া মাত্র পরিশোধ করতে হয়।(খ) বিলম্বিত দেনমোহর : বিলম্বিত দেনমোহর বিয়ের পর যে কোন সময়ে পরিশোধ করলে চলে। তবে মৃত্যু বা বিয়ে-বিচ্ছেদের পরে এই দেনমোহর অবশ্যই পরিশোধ করতে হয়। তখন এই দেনমোহর স্ত্রীর কাছে স্বামীর ঋণসরূপ।
স্বামী যদি স্ত্রীকে বিয়ের পর কোন উপহার দেয় পরে সেটাকে দেনমোহর বলে দাবি করতে পারবেনা। যদি উপহার দেওয়ার সময় “দেনমেহার বাবদ” কথাটি লেখা থাকে তবেই তা দেনমোহর বলে বিবেচিত হবে। যেমন : জমি হস্তান্তরের দলিলে “দেনমোহর বাবদ” কথাটি লেখা না থাকলে স্বামী স্ত্রীকে যত বেশি পরিমাণ জমিই দিক না কেন তা দেনমোহর হিসেবে ধরা যাবে না। দেনমোহর কোন উপহার নয়। এটি আইনগত একটি শর্ত, কাজেই দেনমোহর পরিশোধ করা হলে তা পরিষ্কারভাবে আইনগত দলিলে লিখে রাখা প্রয়োজন।
বিবাহিত অবস্থায় স্ত্রীকে ভরণপোষণের জন্য স্বামীর যে খরচ তা কোনভাবেই দেনমোহরের অংশ নয়। আবার বিয়ে-বিচ্ছেদের ফলে স্বামী স্ত্রীকে যে ভরণপোষণ দেয় তাও দেনমোহরের অংশ নয়। দেনমোহর এবং ভরণপোষণ দু’টি সম্পূর্ণ ভিন্ন জিনিস। একটি পরিশোধ করলে অপরটি মাফ হয়ে যায় না।
স্ত্রী দেনমোহর মাফ করতে পারে। যদিও স্বামী চাইল আর স্ত্রী সাথে সাথে মাফ করে দিলো, দেনমোহরের বিষয়টা এত সহজ নয়। সহজে দেনমোহর মাফ হয় না। স্ত্রী মৌখিক বা লিখিতভাবে মাফ করলেও কিছু কিছু কারণে দেনমোহর মাফ হয়না। দেনমোহর মাফ করার সময় স্ত্রীর পূর্ণ সম্মতি থাকতে হবে। একই সাথে তাকে স্বেচ্ছায়, কোন রকম প্ররোচনা ছাড়া মুক্তমনে দেনমোহর মাফ করতে হবে।
বিয়ে রেজিষ্ট্রেশনের গুরুত্ব অনেক বেশী। কারণ এটি হচ্ছে বিয়ের লিখিত প্রমাণ।আইন অনুযায়ী প্রত্যেকটি বিয়ে রেজিষ্ট্রি করতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন না করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। বিয়ের পর নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে, যেমন-স্ত্রী ও সন্তানকে যুক্তিসংগত কারণ ছাড়া ভরণপোষণ না দিলে, স্ত্রীর বিনা অনুমতিতে আরেকটি বিয়ে কররে বা স্ত্রীকে তালাক দিয়ে দেনমোহর থেকে বঞ্চিত করলে, প্রতারণা করে বিবাহিত থাকা অবস্থায় আর কাউকে বিয়ে করলে- এসব ক্ষেত্রে স্ত্রী আদালতে নালিশ করতে চাইলে প্রথমেই বিয়ের প্রমাণ হিসেবে রেজিষ্ট্রিকৃত নিকাহ্্নামা আদালতে জমা দিতে হবে। রেজিষ্ট্রেশন না কররে বিয়েটি বাতিল বা অবৈধ হয় না, বৈধই থাকে। কিন্তু রেজিষ্ট্রি ছাড়া বিয়েতে সমস্যা বা বিরোধ সৃষ্টি হলে বেশ কিছু আইনগত অসুবিধা সৃষ্টি হয়।
আইন অনুযায়ী নিকাহ রেজিস্ট্রার কর্তৃক বিয়ে সম্পন্ন হলে বিয়ের দিনই বিয়ে রেজিষ্ট্রি করতে হবে। অন্যদিকে নিকাহ রেজিস্ট্রার ব্যতিত অন্য কোন ব্যক্তি কর্তৃক বিয়ে সম্পন্ন হলে বরপক্ষ বিয়ে সম্পন্ন হওয়ার ত্রিশ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট নিকাহ রেজিস্ট্রারের নিকট বিয়ে সম্পন্নের বিষয়ে রির্পোট করবেন এবং সংশ্লিষ্ট নিকাহ রেজিস্ট্রার তৎক্ষানাৎ উক্ত বিয়ের রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করবেন । বিয়ের রেজিস্ট্রেশন সংক্রান্ত উল্লিখিত নিয়ম পালন না করলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সর্বোচ্চ ০২ বছরের কারাদন্ড বা সর্বোচ্চ তিন হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থদন্ড বা উভয় ধরণের শাস্তির সম্মুখীন হতে পারেন।
মুসলিম আইনে বিয়ে একটি চুক্তি, তাই এই চুক্তি নানা কারণে সমাপ্ত বা ভঙ্গ করা যায়। অর্থাৎ এই আইনে বিয়ের চুক্তি ভেঙ্গে বিয়ে-বিচ্ছেদ ঘটানো যায়। বিয়ের মাধ্যমে স্থাপিত সম্পর্ককে আইনসিদ্ধ উপায়ে ভেঙ্গে দেওয়াকে বিয়ে-বিচ্ছেদ বলে। স্বামী বা স্ত্রী যে কোন একজনের মৃত্যুতে একটি মুসলিম বিয়ের বিচ্ছেদ ঘটতে পারে। আবার স্বামী বা স্ত্রী যে কোন একজনের ইচ্ছেতেও বিয়ের নিহাহনামা বা কাবিননামায় উল্লিখিত বা অন্যান্য আইনগত শর্ত পূরণের মাধ্যমে বিবাহ বিচ্ছেদ বা তালাক সম্পন্ন হতে পারে। .
আইন অনুযায়ী প্রত্যেকটি মুসলিম বিয়ের রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতামূলক এবং উহা প্রতিপালন না করা একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু বিয়ে বিচ্ছেদ বা তালাক রেজিস্ট্রেশান করা বাধ্যতামূলক নয় বরং ঐচ্ছিক। তবে, ঝামেলাবিহীনভাবে নানাবিধ রাষ্ট্রীয় সেবা প্রাপ্তি যেমন- জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি, পাসপোর্ট তৈরি, বিদেশ যাত্রা ইত্যাদি কাজের জন্য অনেক সময় বিয়ে বিচ্ছেদ বা তালাক রেজিস্ট্রেশানের কপি প্রয়োজন হয়। এজন্য প্রায়োগিক সুবিধা বিবেচনায় বিয়ে বিচ্ছেদ বা তালাক সুসম্পন্ন হওয়ার পর উহা যথাযথভাবে রেজিস্ট্রেশন করাই যুক্তিযুক্ত।