বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার একটি উল্লেখযোগ্য অংশ প্রবীণ বা বৃদ্ধ। মানুষের গড় আয়ু বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে প্রবীণদের বৃদ্ধির হারও তুলনামূলক বেশি। এসব প্রবীণ পিতা-মাতাদের অনেকে শারীরিক বা মানসিকভাবে নির্যাতনের শিকার হন। অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিজের সন্তানদের হাতে। বৃদ্ধ পিতা-মাতার সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য সরকার ‘পিতা-মাতার ভরণপোষণ আইন, ২০১৩’ পাস করে। কোনো পিতা-মাতা সন্তানদের দ্বারা নির্যাতন বা অবহেলার শিকার হলে আইনি প্রতিকার চাইতে পারেন।
এ আইনের অধীনে বৃদ্ধ পিতা-মাতার অধিকার-
১. প্রত্যেক সন্তানের কাছ থেকে পিতা-মাতার ভরণপোষণ পাবার অধিকার আছে।
২. কোনো পিতা-মাতার একাধিক সন্তান থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে সন্তানরা নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে পিতা-মাতার ভরণপোষণ নিশ্চিত করবে।
৩. সন্তানদের সাথে পিতা-মাতার বসবাস করার অধিকার আছে।
৪. কোনো সন্তান তার পিতা-মাতাকে তাদের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো বৃদ্ধ নিবাস বা অন্য কোথাও বসবাস করতে বাধ্য করতে পারবে না।
৫. প্রত্যেক পিতা-মাতার তাদের সন্তানদের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা ও পরিচর্যা পাবার অধিকার আছে।
৬. নিজেদের সম্মতিতে পিতা-মাতা সন্তানদের থেকে আলাদাভাবে বসবাস করতে পারে। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক সন্তানকে নিয়মিতভাবে পিতা-মাতার সাথে সাক্ষাৎ করতে হবে।
৭. পিতা-মাতা পৃথকভাবে বসবাস করলে প্রত্যেক সন্তান তাদের দৈনন্দিন আয়/মাসিক আয় বা বাৎসরিক আয় হতে যুক্তিসঙ্গত পরিমাণ অর্থ তাদের পিতা-মাতাকে নিয়মিত প্রদান করবে। অর্থাৎ সন্তানদের আয় হতে একটি নির্দিষ্ট অংশ পিতা-মাতার পাবার অধিকার আছে।